সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে কালবৈশাখী ঝড় এর পূর্বাভাস
🔴warning⚡
পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টি যুক্ত মেঘমালা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া মেঘমালা দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে পরবর্তী ১-৬ ঘন্টার মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় জেলার উপর শক্তিশালী প্রভাব রাখতে পারে।
আজ ১৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধা ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
এবং দ্বিতীয় পর্বে আজ রাত ১২ টা পেরিয়ে ১৮ই এপ্রিল শুক্রবার রাত ২ টা থেকে সকাল ১১ টার মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় /তীব্র বজ্রপাত সহ বৃষ্টি শুরু হবে ইনশাআল্লাহ ৯৫% আশংকা করা যাচ্ছে।
একই দিন আবারো দুপুর ২ টার পর আবারো বৃষ্টি শুরু হবে রাত ৯ টার মধ্যে, এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে ইনশাআল্লাহ।
সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে।
তাপমাত্রা দিনে থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতে থাকবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই বৈশাখের কালবৈশাখীর সময় বৃষ্টির ধরনই এমন। প্রচণ্ড গরম, হঠাৎ মেঘ, প্রবল বৃষ্টি। তাতে কিছুটা ঠান্ডা হয় চারপাশ। আবার গরম পড়ে।
⚠️ মনে রাখবেন, কালবৈশাখী ঝড়ের গতিপথ যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই সব সময় সতর্ক থাকুন। বৃষ্টিপাত শুরুর সময় ৩ থেকে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে।
বজ্রপাতের সময় বাইরে থাকলে যা করবেন
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাত আমাদের দেশের জন্য এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই কৃষক, জেলে ও দিনমজুর—যারা খোলা জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়েন। যদি আপনি বজ্রপাতের সময় বাইরে থাকেন তাহলে কীভাবে নিরাপদে থাকবেন সেই বিষয়ে জেনে নিন কয়েকটি দরকারি পরামর্শ।
যত দ্রুত সম্ভব ভিতরে চলে যান
বজ্রপাতের সময় সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হলো কোনো ঘরের ভেতর বা গাড়ির ভেতরে থাকা।বাইরে খোলা জায়গায় থাকা একদমই ঠিক নয়। যদি কাছাকাছি কোনো বাড়ি বা গাড়ি থাকে, তাহলে দ্রুত সেদিকে যান।
নিচু জায়গায় যান
বজ্রপাত সাধারণত উঁচু জায়গায় বেশি আঘাত করে।তাই নিজেকে যতটা সম্ভব নিচু রাখতে হবে। যদি আশেপাশে কোনো আশ্রয় না থাকে, তাহলে কোনো নিচু জায়গায় বসে থাকুন। পাহাড়ে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব নিচে নেমে আসুন। বড় খোলা জায়গা বা একা একটা গাছের নিচে থাকবেন না।
বজ্রপাতের সময় গাড়ি অনেকটা নিরাপদ
বাড়ির মতো নিরাপদ না হলেও, গাড়ির ভেতর থাকা বাইরে থাকার চেয়ে অনেক ভালো। অনেকে মনে করেন গাড়ির টায়ারের রাবার বা জানালার রাবার সুরক্ষা দেয়, কিন্তু আসলে গাড়ির ধাতব শরীর বজ্রপাতের বিদ্যুৎ চারদিকে ছড়িয়ে মাটিতে নামিয়ে দেয়।
পানির ধারে থাকবেন না
অনেকে ভাবেন পানিতে বজ্রপাত পড়ে বেশি। কিন্তু আসলে পানি ভালোভাবে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে, তাই কাছাকাছি বজ্রপাত হলেও আপনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারেন। সাগর, নদী, পুকুর, সুইমিং পুল থেকে দূরে থাকুন।বজ্রপাত শুরু হলে সাথে সাথে পানি থেকে উঠে যান।
তাবু বা প্যাভিলিয়নে আশ্রয় নেবেন না
বহু মানুষ ক্যাম্পিংয়ে গেলে তাবু বা খোলা ছাউনি নিচে আশ্রয় নেন। কিন্তু এতে রক্ষা পাওয়া যায় না। তাবু বা প্যাভিলিয়নের ধাতব ফ্রেম বিদ্যুৎ টেনে আনতে পারে, যা বিপজ্জনক।
বাইরে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার খবর দেখে নিন
যদি আপনি জানেন দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হবে, তাহলে আগেই আবহাওয়ার খবর দেখে নিন। বিশেষ করে যদি আপনি শহর থেকে দূরে যান, তাহলে সেই এলাকার পূর্বাভাসও দেখে নিন। বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকলে প্রস্তুত হয়ে বের হন।
বজ্রপাতের আওয়াজ শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে যান
অনেকে ভাবেন, খুব কাছে বজ্রপাত না হলে সমস্যা নেই। কিন্তু বজ্রপাত অনেক দূর থেকেও মানুষকে আঘাত করতে পারে। যদি আপনি বজ্রের শব্দ শুনতে পান, তাহলে আপনি ঝুঁকিতে আছেন। বৃষ্টি না হলেও আশ্রয় নেওয়া উচিত।
বিঃদ্রঃ দ্বিতীয় আপডেট আজ রাত ১২ টার পর দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
Comments