আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা ভাসবে সিরাজগঞ্জ
![]() |
ছবিটি জুম করে দেখুন। |
আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড় ডানার আপডেট ১
প্রকাশ ২০ অক্টোবর, রাত ১ টা ৪৪ মিনিট
আগে নেকি অর্জন করি পরে পরি
সবাই বলি
সুবহানাল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহ,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
আল্লাহু আকবার
এই ৪ টি শব্দ আল্লাহ তায়ালা কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয় পছন্দের৷
বার্তা ডেস্ক
সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিরাজগঞ্জ বার্তার স্টাফ রিপোর্টার ও জাতীয় দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সদ্য ও ক্ষুদ্র আবহাওয়া পর্যবেক্ষ সাংবাদিক শাকিল হোসেন বাপ্পী আবহাওয়া গবেষণায়
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস ঘূর্ণিঝড় ডানা সৃষ্টির আশংকা ৯০ থেকে ১০০ %।
এর ফলে ঠিক খুলনা, সাতক্ষীরা,ফরিদপুর,নাগরপুর,পাবনা,সিরাজগঞ্জ, বগুড়া উপর আগামী বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর দুপুর ২ টা পর থেকে এ সব জেলায় অবস্থান করবে। সবচেয়ে বেশী সময় অবস্থান করবে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ, বগুড়ায়, এ সময় ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬০ কিলোমিটার।
সিরাজগঞ্জ এর প্রভাব শুরু হবে ২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত।
সিরাজগঞ্জ তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬০ কিলোমিটার। সবচেয়ে বেশী থাকবে বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৩ টা পর্যন্ত।
সিরাজগঞ্জ এর প্রভাবে ৩/৪ দিন বৃষ্টি একটানা থাকতে পারো ইনশাআল্লাহ।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "ডানা": ঘুর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো (খুলনা ও বরিশাল বিভাগের) দ্রুত প্রস্তুত করে রাখার পরামর্শ
৬০ থেকে ৭০ % নিশ্চয়তা সহকারে বলা যায় যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "ডানা" ঘুর্নিঝড়টির কেন্দ্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশংকা রয়েছে। সম্ভব্য ঘুর্নিঝড়টি স্থল ভাগে আঘাত করা শুরু করার আশংকা করা যাচ্ছে ২৩ শে অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে ২৪ শে অক্টোবর দুপুর ১২ টার মধ্যে। ফলে হাতে আছে আর মাত্র ৪ দিন। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকার মানুষদের ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হবে তা মোটা-মুটি ভাবে নিশ্চিত করেই বলা যায়। যেহেতু সম্ভব্য ঘুর্নিঝড়টি উপকূলে আঘাত করার মাত্র ৪ দিন অবশিষ্ট রয়েছে তাই খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকার প্রশাসনকে ঘুর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত করে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
আজ ২০ ই অক্টোবর তারিখের পূর্বাভাস তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা সম্বন্ধে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।
লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভব্য সময়: ২১ থেকে ২২ শে অক্টোবর
নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভব্য সময়: ২২ থেকে ২৩ শে অক্টোবর
পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভব্য সময়: ২৩ থেকে ২৫ শে অক্টোবর
স্থলভাগে আঘাতের সম্ভব্য সময়: ২৩ শে অক্টোবর মধ্য রাতের পর থেকে ২৪ শে অক্টোবর মধ্য রাতের মধ্যে।
স্থলভাগে আঘাতের সম্ভব্য স্থান: ভারতের ওড়িশা রাজ্য ও বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী যে কোন উপকূলীয় এলাকা।
ঘুর্নিঝড় স্থল ভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সম্ভব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ:
======================================
---> বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।
------> বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
----> ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।
-----> ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার।
ঘুর্নিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভব্য উচ্চতা:
=============================
সাতক্ষীরা, খুলনা, ও বাগেরহাট জেলা: স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ৫ থেকে ৮ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ২ থেকে ৫ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।
বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা: স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ১ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।
নোয়াখালী, চট্টগ্রাম: স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ২ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।
কক্সবাজার: স্বাভাবিক সময় অপেক্ষা ২ থেকে ৪ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ১ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "ডানা": কৃষকদের জন্য গুরুত্নপূর্ন পরামর্শ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "ডানা" এর প্রভাবে বাংলাদেশের বেশিভাগ জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। সম্ভব্য এই ঘুর্নিঝড়টির কারণে পুরো বাংলাদেশের উপরে ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের আলু চাষিদের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে যে আগামী ২০ শে অক্টোবরের পরে জমিতে নতুন করে কৃত্রিম সেচ না দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের আলু চাষিদের।
সম্ভব্য ঘুর্নিঝড় "ডানা" যে সময়ে বাংলাদেশে আঘাত করতে যাচ্ছে সেই সময় বাংলাদেশের কৃষকরা আমন ধান কাটা ও মাড়াই এর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। তাই বাংলাদেশের কৃষকদের অনুরোধ করবো জমিতে পাকা ধান থাকলে তা কেটে মড়াই করে গোলায় উঠানোর জন্য ২২ শে অক্টোবর তারিখের মধ্যে।
কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে যে শাক-সবজির জমি থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জামা হওয়া বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করে রাখার জন্য। বিশেষ করে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে খুবই ভারি বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
Comments