দেশে প্রবেশ করলো বর্ষা! ভারী বৃষ্টির সতর্কতা!
আমাদের পূর্বাভাস অনুয়ায়ী, আজ দেশের সেন্টমার্টিন দিয়ে দেশে প্রথম পদার্পণ করল বর্ষা! যা আগামীকাল টেকনাফ এবং পরশু কক্সবাজার ও কুতুবদিয়া দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
বর্ষার আগমনে দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে বৃষ্টি। যার দরুন গত দু-তিন দিন দেশে মাঝারি থেকে ভাড়ি ও কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হতে দেখা যায়। মূলত এটাকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টি বলা হয়।
এদিকে বর্ষা প্রবেশের ফলে দেশে চলমান বজ্রবৃষ্টি আজও অব্যাহত রয়েছে। তবে আজও গতকালের ন্যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে মূলত বর্ষা প্রবেশ করলেও, আগামী ২৩ তারিখ থেকে দেশে সাময়িক বৃষ্টিপাত হ্রাস পেতে পারে।
মূলত বর্ষার শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে, সাগর থেকে পুনরায় তার পথচলা শুরু করবে। ফলে মৌসুমী অক্ষরেখা অনেকটা দক্ষিণে চলে যাবে। যার দরুন দেশে কিছুটা ভ্যাপসা গরম অনুগত হবে এবং বৃষ্টিপাত হ্রাস পাবে।
এই সময়ের মাঝে যারা কৃষিকাজ সম্পন্ন করতে চান তারা সম্পূর্ণ করে ফেলার জন্য বিনীত আহ্বান করছি। এই সময়টা কৃষকদের জন্য হতে পারে আশীর্বাদ।
এদিকে সাময়িক বিরতির পর বর্ষা পুনরায় শক্তি নিয়ে এই মাসের শেষের দিকে দেশের অন্যান্য স্থানে প্রসারিত হতে পারে। এবং উল্লেখ্য যে এই মাসের মাঝেই দেশের অধিকাংশ স্থানে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে।
এই বর্ষার প্রবেশের ফলে দেশে শুরু হয়ে যাবে মূলত ভারী বৃষ্টিপাত। ২৮ বা ২৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি প্রথমে দক্ষিণাঞ্চল পরবর্তীতে মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে প্রসারিত হতে পারে।
মূলত একটি সাগরের নিম্নচাপের ফলে দেশে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে এবং সেটা থেকে বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। এবং পরবর্তীতে এটি স্থল লঘুচাপ আকারে দেশের উত্তর অঞ্চল দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থান করতে পারে।
যার ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে জুনের শুরুতে মাঝারি থেকে বাড়ি ও কখনও কখনও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতে বাড়ি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় উক্ত সময়ের পর উত্তরাঞ্চলে জলাবদ্ধ ও সাময়িক বন্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৩ তারিখে আন্দামানে বর্ষা প্রথম পদার্পণ করতে দেখা যায়। যা পরবর্তীতে ধীর ভাবে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়। ফলে গত ১৫ তারিখ আন্দামানের অধিকাংশ স্থানে বর্ষা প্রবেশ করে। এবং ১৯ তারিখ সর্বশেষ সিত্ত্বে অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে
পরিবেশ অনুকূল পরিস্থিতি থাকায়, বর্ষা আগামী দুদিনে চট্টগ্রাম বিভাগের টেকনাফ, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
--- ধন্যবাদ
Comments